১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবার বাংলাদেশে প্রবেশ করল মার্কিন সেনাবাহিনী। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে একটি যৌথ সামরিক দল। এই ঘটনাকে ঘিরে ভারত সহ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি গাড়িতে কনভয়ে যাচ্ছে। সূত্র বলছে, এই দলটি কক্সবাজারে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই সফরের তাৎপর্য অনেক গভীর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু একটি মহড়া নয়। বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশলের অংশ। প্রশ্ন উঠছে—এই অবস্থান কি শুধুই রোহিঙ্গা ইস্যু? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কোন চক্রান্ত?
ভারতের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা?
বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বা ‘সেভেন সিস্টার’ রাজ্যগুলো। অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের ভেতরে মার্কিন ঘাঁটি বা সামরিক প্রভাব গড়ে উঠলে ভারতীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জঙ্গি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মাটিতে মার্কিন সেনা থাকলে বিষয়টি হয়ে উঠতে পারে আরো জটিল। আর অপর দিকে আমেরিকার ঘনিষ্ঠতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে চিন্তিত নয়াদিল্লিও।
রোহিঙ্গা সমস্যা, নাকি ভিন্ন লক্ষ্য?
বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে জানিয়েছে, মার্কিন সেনাদের এই প্রবেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যৌথ মানবিক তৎপরতার অংশ। তবে ভিন্নমত রয়েছে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাঁদের মতে, এটি আসলে দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য গড়ার অংশ। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আমেরিকা বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে পারে চীন ও ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য।