পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর: মাত্র একটি চিপসের প্যাকেট। আর সেটিকে ঘিরেই ঘটলো এক মর্মান্তিক পরিণতি। পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় এলাকায় এক নাবালকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে অপমান করা হয়। এরপর অপমানে বিষ খেয়ে আ/ত্ম/ঘা/তী হয় শিশুটি। আর তার মৃ/ত্যু/র জেরে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন দোকানদার, যিনি আবার পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবেও যুক্ত। তাঁর দোকান থেকেই এক প্যাকেট চিপস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক নাবালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি শুধু অপবাদই দেননি, বরং শিশুটিকে মারধরও করেন। অপমানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শিশুটি এবং কীটনাশক খেয়ে আ/ত্ম/হ/ত্যা/র চেষ্টা করে।
আরো পড়ুন: “‘মা, আমি চুরি করিনি…’ চিপস চুরির অপবাদে আ/ত্ম/হ/ত্যা পাঁশকুড়ার কিশোরের”
অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে তড়িঘড়ি তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে মৃ/ত্যু হয় ওই শিশুর। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুঁসে ওঠে গোটা গোসাইবেড়। অভিযুক্ত সিভিকের বাড়ির সামনে জমায়েত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় বিক্ষোভ।

ক্ষোভ ক্রমে সহিংসতায় পরিণত হয়। স্থানীয়রা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাঁশকুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, একজন সিভিক পুলিশ যদি এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? শিশুর আ/ত্ম/হ/ত্যা/র প্ররোচনার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।