অমিত খিলাড়ি, ডেবরা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত দু’নম্বর ভারতপুর অঞ্চলের পন্ডত এলাকার বাসিন্দা স্বরূপ সাউটিয়া চরম সমস্যায় পড়েছেন। ২০২২ সালে তিনি ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ACE কোম্পানির আরজি থার্মাল সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামক এক ডিলারের কাছ থেকে একটি ধান কাটার মেশিন (ধান কাটা গাড়ি) কেনেন। গাড়ি কেনার সময় কোম্পানি এবং ডিলারের পক্ষ থেকে পেড সার্ভিসিং-এর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ২০২৪ সালের শীতকালীন মরশুমে ধান কাটার সময় গাড়িটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। সেইমতো ACE কোম্পানির সার্ভিসিং চুক্তি অনুযায়ী স্বরূপবাবু কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন। প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ধান কাটা শেষ হলে সার্ভিসিং করা হবে। কথা মতো ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষে তিনি ফের যোগাযোগ করেন এবং গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সার্ভিসিং-এর কাজ শুরু হয়।

স্বরূপ সাউটিয়ার অভিযোগ, প্রায় দেড় থেকে দু’মাস কেটে গেলেও গাড়ির সার্ভিসিং ঠিকমতো হয়নি। বরং কয়েকদিন আগে ACE কোম্পানির লোকেরা জানিয়ে দেন যে, তারা আর গাড়ির সার্ভিসিং করতে পারবেন না, বাইরে থেকে সারানোর পরামর্শ দেন। এখন গ্রীষ্মকালীন মরশুমের ধান কাটার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এমতাবস্থায় কৃষকের প্রশ্ন, “গাড়ি সারাই না হলে আমি ধান কাটবো কীভাবে?”
তিনি আরও জানান, “সামনেই ইএমআই-এর তারিখ। প্রতি কিস্তিতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হয়। গাড়ি যদি মাঠে নামতেই না পারে, আমি কোথা থেকে এই টাকা শোধ করবো?” এই পরিস্থিতিতে স্বরূপবাবুর আশঙ্কা, ইএমআই মেটাতে গেলে তাকে নিজের উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে হতে পারে, যা তার পরিবার চলার প্রধান ভরসা।

ইতিমধ্যে স্বরূপ সাউটিয়া কোম্পানির হেড অফিসে ইমেইলের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা না হলে, আইনি পথে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।