পাঁশকুড়া: চিপস চুরির অপবাদে আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাসের মৃত্যুর ঘটনায় এবার সরাসরি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর মা সুমিত্রা দাস। তিনি রবিবার পাঁশকুড়া থানায় হাজির হয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত রবিবার কৃষ্ণেন্দু দাস স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানে গিয়েছিল চিপস কিনতে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, দোকানের সামনেই একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে ছিল, যেটি কৃষ্ণেন্দু কুড়িয়ে নেয়। এরপরই থেকে শুরু হয় হেনস্থা। অভিযোগ, শুভঙ্কর তাকে প্রকাশ্যে চোর বলে মারধর করেন ও কান ধরে ওঠবস করান। এমনকি তার বাবা-মাকেও দোকানে ডেকে পাঠান। কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা ছেলেকে নিয়ে দোকানে গিয়ে সামান্য শাসন করে চলে আসেন বাড়িতে। কিন্তু, এরপর অপমানে ভেঙে পড়ে কৃষ্ণেন্দু, বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে।
কৃষ্ণেন্দুর খাতায় লেখা ছিল, মা আমি চুরি করেনি, কুড়কুড়ে প্যাকেটটি কুড়িয়ে পেয়েছিল। এবং পরে সিসিটিভি ফুটেজ সেই দাবিকেই সত্যি প্রমাণ করে।

কৃষ্ণেন্দুর মৃত্যুর পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তাল হয়ে উঠলেও মৃতের পরিবার তখনও থানায় অভিযোগ করেনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুমিত্রা দাস বারবার জানিয়েছিলেন, সঠিক সময় হলে আমি অভিযোগ জানাবো। অবশেষে রবিবার, ছেলের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুধু শুভঙ্কর নন, অভিযোগপত্রে তাঁর ভাই দীপঙ্কর দীক্ষিত, স্ত্রী নিশা দীক্ষিত ও বাবা সূর্যকান্ত দীক্ষিতের নামে FIR করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ, মানসিক নির্যাতন ও প্ররোচনার অভিযোগ এনেছেন সুমিত্রা। তিনি আরো দাবি করেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দোষীদের।অভিযোগ দায়েরের পর এখন পুলিশ তাঁকে কত দ্রুত গ্রেফতার করে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।