ভেমুয়ার খোড়াই হাইস্কুল মাঠে জমকালো আয়োজন, ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে উৎসব। শান্তির বার্তা ছড়িয়ে, ঐক্যের সুরে বাঁধা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। ভেমুয়া অঞ্চলের খোড়াই হাইস্কুল মাঠে সূচনা হল বিশ্ব শান্তি সবং পল্লী উৎসবের। শনিবার (৪ মে) প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও প্রতীকী দুই পাইরা পাখি উড়িয়ে এই উৎসবের শুভ সূচনা করেন সবং থানার ওসি চঞ্চল সিংহ। শুরুতেই মঞ্চে ধ্বনিত হয় ‘বন্দে মাতরম’—যেন এক নতুন আশার বার্তা।
শান্তির বার্তা থেকে পল্লী সংস্কৃতির উদযাপন
এই পল্লী উৎসবের মূল উদ্দেশ্য—গ্রামীণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সবং অঞ্চলের মানুষের মিলনক্ষেত্র তৈরি করা। পাশাপাশি বিশ্ব শান্তির বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া। এই উৎসব শুধুই গান, নাচ বা অনুষ্ঠান নয়—এ এক সামাজিক সংহতির প্রতীক।

সাংস্কৃতিক আনন্দের পাঁচ দিন
এই উৎসব চলবে ৮ই মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে—লোকনৃত্য, নাটক, রবীন্দ্রসংগীত, কবিগান, আধুনিক গান, এবং আরও অনেক কিছু। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া ও সাংস্কৃতিক দলগুলি এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
স্থানীয় মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
উৎসবের প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে খোড়াই হাইস্কুল মাঠ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের মানুষ এসেছেন এই সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় অংশ নিতে। স্থানীয়দের মতে, এমন উৎসব শুধু বিনোদনই নয়, মানুষকে একসাথে নিয়ে চলার শক্তি দেয়।

পুলিশ প্রশাসনের মানবিক উদ্যোগ
উৎসবের শুভ সূচনা করেন সবং থানার ওসি চঞ্চল সিংহ, যাঁর উপস্থিতি প্রমাণ করে—পুলিশ শুধু আইনরক্ষক নয়, সমাজের সঙ্গে সংযুক্ত এক গুরুত্বপূর্ণ অংশও। তাঁর এই উপস্থিতি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দের জোয়ার এনেছে।
বিশ্ব শান্তির বার্তা নিয়ে এমন এক পল্লী উৎসব নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সবংয়ের মাটিতে শান্তি, সংস্কৃতি ও সৌহার্দ্যের মেলবন্ধনে গড়ে উঠুক আরও অনেক এমন আয়োজন। এই উৎসব যেন রূপ নেয় এক অনন্য ঐতিহ্যে—যেখানে মানুষ, সংস্কৃতি ও শান্তি মিলেমিশে একাকার।