নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: অভিনব এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর এলাকা। আজ সকাল দশটা নাগাদ, এলাকাবাসীর চোখের সামনে ঘটে যায় এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এক যুবক হঠাৎই একটি কবর খুঁড়ে সেখান থেকে মৃতদেহ বের করে নিয়ে আসে। তারপর সেই মৃতদেহকে দাঁড় করিয়ে শুরু করে সেলফি তোলা! ঘটনাটি নজরে আসতেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবকটিকে পাকড়াও করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু কোনো যুক্তিযুক্ত উত্তর না পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা রীতিমতো বেধড়ক মারধর করে তাকে। এরপর ওই যুবককে আটকে রাখা হয় একটি ঘরের ভিতর।

খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে পরিস্থিতি তখন এতটাই উত্তপ্ত যে, যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। শেষমেশ, কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করে যুবককে উদ্ধার করে কাঁথি থানার পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় দারুয়া মহকুমা হাসপাতালে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যদি তন্ত্রসাধনা বা পাচারের উদ্দেশ্য থাকত, তবে হয়তো রাতের অন্ধকারে ঘটত এই কাণ্ড। কিন্তু দিব্যি দিনের আলোয় এই কাজ করে এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এমন অপচেষ্টা করেছে অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম প্রভাকর সিট, বয়স ৩৩। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার অন্তর্গত এলাকায়। কাঁথি মহকুমার পুলিশ সুপার দিবাকর দাস জানিয়েছেন— যুবকটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। তবে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ তুঙ্গে