শুক্রবার (২৩ মে ২০২৫) — দুপুরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল বড়—ষড় রেল দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর মৌরীগ্রাম স্টেশনে একই লাইনে দু’টি লোকাল ট্রেন ঢুকে পড়ে, যার জেরে হুড়োহুড়ি শুরু হয় যাত্রীদের মধ্যে। এক মুহূর্তের জন্য ঘটনার ভয়াবহতা করমণ্ডল দুর্ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়, যেখানে প্রায় ৩০০ জনের প্রাণ গিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ, আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের পেছনে আরেকটি ট্রেন ঢুকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য পেছনের ট্রেনটিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়, এবং কোনও প্রাণহানি হয়নি। ওপরদিকে রেলের তরফে এই ঘটনাকে “স্বাভাবিক” বলে উল্লেখ করা হলেও প্রশ্ন উঠছে ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিগন্যালিং নিয়ে। ঘটনার পর থেকে খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বেশ কিছু সময় ব্যাহত হয়।

করমণ্ডল দুর্ঘটনার পরও রেল ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি কেন এখনও কাটছে না, তা নিয়ে ফের উঠেছে প্রশ্ন। সম্প্রতি একই লাইনে পরপর দু’টি ট্রেন চলে আসার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। রেলযাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “একই লাইনে দু’টি ট্রেন চলে আসা কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়। আজ হয়তো রক্ষা পেলাম, কিন্তু কাল?” এমন ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে রেল সুরক্ষা ব্যবস্থা। একের পর এক ত্রুটি ও নজরদারির অভাব দেখে অনেকেই ভাবছেন, করমণ্ডলের মতো বড় মাপের দুর্ঘটনা থেকেও কি কিছুই শেখেনি রেল?